নাটোরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রলীগের দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দু-পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাষিকী উপলক্ষ্যে সকালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারি নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাঁধা দেন। এতে দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ দু-পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রলীগের দু-পক্ষের ১৩ জনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আমরা কেক কেটে পালন করছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ আমরা আরেকটি অনুষ্ঠানে যেতে বের হবার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাটি অফিসে আসছেন জানতে পারি। আমরা তাদের বলি, পার্টি অফিসে নৌকা বিরোধী কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবে না। আপনারা অন্য জায়গায় প্রোগ্রাম করেন। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা করে তারা। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আমরা পার্টি অফিসে যাই। এসময় ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা অর্তকিত ভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের দাবী পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেন।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।